জুতা ও চেহারার আকৃতি দেখে অঙ্গার মরদেহ শনাক্ত!
রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে নিহত অজ্ঞাত একটি মরদেহের পরিচয় মিলেছে। পায়ের জুতা ও চেহারার আকৃতি দেখে তাকে শনাক্ত করেন স্বজন। তবে, ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।
আজ মঙ্গলবার ( ১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে অজ্ঞাত মরদেহকে নিজের চাচা রশিদ ঢালী বলে দাবি করেছেন বেলাল আহমেদ নামের এক ব্যক্তি।
বাচ্চু মিয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, শনাক্ত করতে না পারা দুই লাশ দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই কার লাশ। এ জন্য ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন। ডিএনএ পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে, দাবি করা লাশটি রশিদ ঢালীর কি না।
রশিদ ঢালীর ভাতিজা বেলাল আহমেদ হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, পায়ে পরা জুতা, মুখের আকৃতি দেখে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন একটি লাশ তার চাচা রশিদ ঢালীর। তার চাচা মালামাল কেনার জন্য গতকাল সোমবার রাতে নেত্রকোনা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। ভোর থেকে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। তাদের বাড়ি নেত্রকোনা সদরে।
ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, শনাক্ত না হওয়া লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করার পর লাশ শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনে পুড়ে চারজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে নাদিরা আক্তার (৩২) এবং তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন রহমান নামের দুজনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই দুজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করেছে পুলিশ।