আমু ভাই পাঠিয়েছিলেন, তিনিই আবার ফিরিয়ে এনেছেন : শাহজাহান ওমর
আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া সদ্য সাবেক বিএনপিনেতা ঝালকাঠী-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের নৌকার প্রার্থী শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) বলেছেন, ‘আমু ভাই আমাকে বিএনপিতে পাঠিয়েছিলেন, আবার তিনিই আওয়ামী লীগে ফিরিয়ে এনেছেন। অস্তাগফিরুল্লাহ, আর জীবনে আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাব না।’
আজ বুধবার রাতে বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসভবনে তাঁকে (আমু) সঙ্গে নিয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন শাহজাহান ওমর।
নির্বাচনি এলাকা রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তবে এসব প্রসঙ্গ এড়িয়ে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেছেন, কীভাবে বিএনপিতে গেলেন এবং আওয়ামী লীগে ফেরার কাহিনি। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭৪ সালে একটি মামলায় জড়িয়ে কারাগারে যাওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হয়ে বিপদগ্রস্ত হন। তখনকার সময় বরিশাল আওয়ামী লীগের ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম মঞ্জুর (প্রয়াত) সঙ্গে তাঁর ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তখনকার মন্ত্রী আবদুর রব সেরনয়িাবাত (পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিহত), তাঁর ছেলে বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং আমির হোসেন আমু তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। হাসানাত আবদুল্লাহ কয়েকবার তাঁকে কারাগারে দেখতে গেছেন। তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে তাঁর শিক্ষক ছিলেন। সেই পরিচয়সুত্রে বিএনপিতে গিয়েছিলেন। ৯১ সালে নির্বাচনের আগে আমির হোসেন আমু তাঁকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন শেখ হাসিনা জানান, তাঁর বাবার (বঙ্গবন্ধু) বন্ধুর চিঠি নিয়ে এসেছেন আরেকজন। তাই তাঁর জন্য কিছু করতে পারছেন না। তখন আমু আবার তাঁকে বিএনপিতে ফেরত যেতে বলেন।
শাহজাহান ওমর আরও বলেন, গত ২৯ নভেম্বর কারাগার থেকে বের হওয়ার পর এবারও আমির হোসেন আমু তাঁকে আওয়ামী লীগে যোগদানের ব্যবস্থা করেছেন। রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার বিএনপির সবাই তাঁর সঙ্গে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। কিছু নাবালক ছেলে এখনও বিএনপিত আছে, তাদের কীভাবে আনতে হয় সে ব্যবস্থাও তাঁর জানা আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আমু বলেন, ‘জনগণ সম্পৃক্ত না থাকলে সেই আন্দোলন কখনও সফল হয় না। আওয়ামী লীগ হরতাল ডেকে ঘরে বসে থাকলেও সেই হরতাল পালিত হতো। এখন বিএনপির হরতাল-অবরোধে সবকিছুই স্বাভাবিক থাকে। এর কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।’