‘আ.লীগের বাঁচার পথ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর’
বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের বাঁচার একমাত্র পথ পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এ ছাড়া সরকারের বাঁচার কোনো রাস্তা নেই।’
আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জাতীয় নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে পল্টন, প্রেসক্লাব এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন ১২ দলীয় জোটের এই নেতা।
শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এই সরকারের ওপর আর বিন্দুমাত্র আস্থা রাখতে পারছে না। দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবন-জীবিকা এই সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণ এই সরকারের কাছ থেকে এখন মুক্তি চায়।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশে-বিদেশে অকেজো সরকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি নেই, তবে শিগগিরই জনগণ পতনের গ্যারান্টি কার্ড আওয়ামী লীগের হাতে ধরিয়ে দেবে। ভালোয় ভালোয় পদত্যাগ করুন, অন্যথায় অনেক বেদনা নিয়ে বিদায় নিতে হবে।’
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী এম এ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরীফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবু মোহাম্মদ হানিফ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের আবু মনসুর ভুইয়া, যুব জাগপার মনোয়ার হোসেন, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনানসহ আরও অনেকে।