গোপালগঞ্জে ৪৭২৩ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা
গোপালগঞ্জে চলতি বছর চার হাজার ৭২৩ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে তেলজাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ি এ উদ্যোগ নিয়েছে। গত বছর গোপালগঞ্জ জেলায় চার হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। এ বছর আরও ১৫৩ হেক্টর জমিতে আবাদ বাড়ানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপপরিচালক আ. কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘গত বছর জেলায় চার হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হেক্টরের বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়। এ বছর আমরা চার হাজার ৭২৩ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। এ বছর আবাদের এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, ‘এ বছর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় এক হাজার ৫১০ হেক্টর, মুকসুদপুর উপজেলার এক হাজার ৫৩৮ হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলার এক হাজার ১২৫ হেক্টর, কোটালীপাড়া উপজেলার ২১৫ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরিষা আবাদের জন্য জেলার পাঁচ উপজেলার ছয় হাজার ২০০ কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে ছয় হাজার ২০০ কেজি সরিষা বীজ, ৬২ টন ডিএপি সার ও ৬২ টন এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।’
অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, ‘রবি মৌসুমটি সরিষা আবাদের অনুকূলে রয়েছে। এ ছাড়া গত মৌসুমে বাজারে সরিষার দাম ভাল ছিল। তাই এ বছরও সরিষার ভাল দামের আশায় সরিষা আবাদে কৃষকের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।’