বড়দিনে ডিএমপির তিন নির্দেশনা
বড়দিন উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার
লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বড়দিনের উৎসব
ঘিরে প্রত্যেক গির্জায় স্থায়ীভাবে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি পুলিশি টহল বৃদ্ধিসহ
শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে
বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর
রহমান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় কিছু নিরাপত্তা নির্দেশনা দিয়ে এ কথা জানানো হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বড়দিনে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা
১. প্রতিটি গির্জায় রাত্রিকালীন ভিডিও ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।
২. প্রতিটি গির্জার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক
নিয়োগ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও আর্মডব্যান্ড
নির্ধারণ করে দেওয়া। স্বেচ্ছাসেবকদের নামের তালিকা স্থানীয় থানায় প্রেরণ করা ও
থানার অফিসারের উপস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবকদের ব্রিফিং করার ব্যবস্থা করা।
৩. গির্জায় দর্শনার্থীদের ব্যাগ/পোটলা ইত্যাদি
নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করা। তাছাড়া গির্জা এলাকায় সন্দেহজনক কোনো
ব্যাগ/পোটলা পড়ে থাকতে দেখলে বা দৃষ্টিগোচর হলে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীকে তাৎক্ষণিক অবহিত করা।
৪. আর্চওয়ে গেট স্থাপন এবং মেটাল ডিটেক্টর
ব্যবহার করে তল্লাশির ব্যবস্থা করা।
৫. প্রতিটি গির্জায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন
এবং অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৬. আলোকসজ্জার কাজে গুণগতমান সম্পন্ন বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করা।
৭. আনন্দ উৎসবে মাদকের ব্যবহার, ফানুস ওড়ানো ও
আতশবাজি করা থেকে বিরত থাকা।
৮. প্রতিটি গির্জা ও অনুষ্ঠান এলাকায় পর্যাপ্ত
আলোর ব্যবস্থা করা এবং বিকল্প আলোর (জেনারেটর) ব্যবস্থা রাখা।
৯. প্রতিটি গির্জার জন্য পরিদর্শন রেজিস্ট্রার
প্রণয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা।
১০. আবাসিক এলাকায় বাড়ির ছাদ, রেস্টুরেন্ট ও
হোটেলে ডিজে পার্টি এবং উচ্চশব্দে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা।
১১. ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা। ব্যক্তিগত
পর্যায়ে উৎসব উদযাপনের ক্ষেত্রে প্রতিবেশীর যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে
সচেতন থাকা।
১২. স্থানীয় কাউন্সিলর, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও
পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা এবং তাদের নাম ও মোবাইলফোন
নম্বর সম্বলিত ব্যানার দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।
১৩. কোনো দুর্ঘটনা বা অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা তৈরি
হলে অতি দ্রুত পুলিশকে জানানো এবং জরুরি প্রয়োজনে গির্জা কমিটি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট
থানার ফোকাল পয়েন্ট অথবা ৯৯৯ এর সেবা গ্রহণ করা অথবা ম্যাসেজ টু কমিশনারের জরুরি
নম্বর ০১৩২০-২০২০২০ ও ০১৩২০-১০১০১০ এসএমএস করা।