কক্সবাজারে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি তদন্তে র্যাব
কক্সবাজার-ঢাকা চলাচলকারী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি তদন্তে মাঠে নেমেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে আদালত স্বপ্রণোদিত মামলা করে তদন্ত করতে র্যাবকে নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তকাজ শুরু করেছে র্যাব।
তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া কক্সবাজার র্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এডিশনাল এসপি আবু সালাম চৌধুরী বলেন, ট্রেনটি এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন। এখন স্বপ্ন নিয়ে খেলছে কালোবাজারির দল। আমরা সরেজমিন তদন্ত করছি। যারা জড়িত থাকুক তাদের সামনে আনব। আদালতে উপস্থাপন করব।
আবু সালাম চৌধুরী আরও বলেন, শুধু কালোবাজারি নয়, রেল লাইনে যে নাশকতা চলছে তার প্রভাব এখনও কক্সবাজারে পড়েনি। আমরা সার্বক্ষণিক বিষয়গুলো নজরদারিতে রেখেছি। স্টেশনে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকব।
গত ১৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত ১-এর বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা কালোবাজারি দমনে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেন। মামলার আবেদনে বলা হয়, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে একটি সিন্ডিকেট টিকিট বাগিয়ে নেওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। যা ফৌজদারি কার্যবিধিতে আমলযোগ্য। বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত স্বপ্রণোদিত মামলা করে র্যাব-১৫কে তদন্তের নির্দেশ দেন। টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে কি না তদন্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজার এক্সপ্রেস উদ্বোধন হলেও বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করে ১ ডিসেম্বর থেকে। প্রথম দিন থেকেই এই ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। অভিযোগ উঠেছে অনলাইন ও কাউন্টারে টিকিট পাওয়া না গেলেও কালোবাজারে বেশি দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি টিকিটের জন্য দেড়শ থেকে ২০০ টাকা বাড়তি চাওয়া হচ্ছে।