ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি
তথ্য গোপন করে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করার অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার, সংক্ষেপে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম এই দিন ধার্য করেন। এদিন আদালতে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সাবরিনার আইনজীবী অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন।
এর আগে ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট রাতে গুলশান থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মমিন মিয়া বাদী হয়ে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। এরপর সাবরিনাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুদিনের রিমান্ডে পাঠায় ঢাকার সিএমএম আদালত। রিমান্ড শেষে পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।’
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৭ আগস্ট করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফের দুটি জাতীয় পরিচয় পত্রই (এনআইডি) ব্লক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এর আগে ওই বছরের ২৭ আগস্ট জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনু বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফের দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়। তারপর আমরা তাঁর দুটি পরিচয়পত্র যাচাইয়ের জন্য তদন্ত করি। তদন্ত করে দেখা গেছে, ডা. সাবরিনার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। প্রথমটি করা হয়েছিল ২০০৯ সালে, যেটি মোহাম্মদপুর থানা নির্বাচন অফিস থেকে করা হয়। আর দ্বিতীয়টি গুলশান থানা নির্বাচন অফিস থেকে ২০১৬ সালে করা হয়। আইন অনুযায়ী প্রথমটি বৈধ, দ্বিতীয়টি অবৈধ।