ভোলায় গলা কেটে ইজিবাইকচালক হত্যার আসামি রাজধানীতে গ্রেপ্তার
ভোলার চরফ্যাশনে অটোরিকশাচালক মো. হারুনকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পলাতক আসামিকে আজ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ (র্যাব)।
র্যাব-১০-এর অধিনায়কের পক্ষে উপপরিচালক (অপ্স অফিসার) আমিনুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-১০ বলছে, ভোলা জেলার শশীভূষণ থানার পালোয়ান বাড়ি এলাকার মো. আব্দুল মুনাপ পালোয়ানের (৫২) ছেলে মো. হারুনকে (১৭) গত মঙ্গলবার আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রতিদিনের মতো ইজিবাইক নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। ওদিন আনুমানিক রাত ৮টায় ছেলে হারুনকে ফোন করে বাড়ি ফেরার সময় পান নিয়ে আসতে বলেন। সে সময় হারুন ফেরার সময় পান নিয়ে আসবেন বলে জানান।
এরপর হারুন রাতে বাসায় না ফিরলে তার পরিবারের লোকজন তাকে মুঠোফোনে কল করতে থাকেন। সাড়া না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরদিন ২০ ডিসেম্বর আনুমানিক ভোর সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে পারেন, ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার মেঘনা নদী সংলগ্ন ফাঁকা মাঠে তার ছেলের গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে হারুনকে শনাক্ত করেন।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এরপর নিহতের বাবা মো. আব্দুল মুনাপ পালোয়ান তার পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনাটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারে দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পরে ভোলার চরফ্যাশন থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডটিতে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১০-কে অধিযাচনপ্রত্র পাঠালে অভিযানে নামে তারা। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৭ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে পলাতক আসামি মো. মিজানুর রহমানকে (২৮) গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন থানার টেকেরহাট মসজিদ এলাকায়।
র্যাবের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মিজার ইজিবাইক ছিনতাইকারীচক্রের সক্রিয় সদস্য। সে ও তার অপর তিন সহযোগী ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশে হারুনের যানবাহনে ওঠে। পরে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক তাদের সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছে হারুনকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে। এরপর মরদেহ মেঘনা নদীর পাড়ে একটি ফাঁকা জায়গায় ফেলে পালিয়ে যায়।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তার মিজানকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।