প্রতিদিন অন্তত ১৮০০ আসামি গ্রেপ্তার হয় : ডিআইজি আনোয়ার
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহসমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতির পর থেকেই দলটির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার চলছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। যদিও বারবারই পুলিশ জানিয়ে আসছে, মামলা না থাকলে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুলিশ সদর দপ্তরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনেও একই তথ্য জানালেন ডিআইজি (অপারেশন) মো. আনোয়ার হোসেন। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে কতোজন গ্রেপ্তার হয়েছে। যদিও ২৮ অক্টেবর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির কতজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা বলতে পারেননি তিনি।
পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের কতজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে, প্রতিদিন নিয়মিত মামলায় সারাদেশে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ নানা কারণে এক হাজার ৮০০ থেকে এক হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় ‘ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে কোনো গ্রেপ্তার হয় না।’
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যখন একটি জায়গায় মারামারি, বাসে অগ্নিসংযোগ ও অবরোধ হয় তখন সেই সংক্রান্ত একটা মামলা হয়। মামলায় যারা আসামি হয়, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। যেই সংখ্যাটা বাইরে বলা হয়, এটা একেবারেই অতিরঞ্জিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গ্রেপ্তার করার আগে বারবার চিন্তা করি, যে জড়িত শুধু তাকেই গ্রেপ্তার করা হয়।’
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছিল জানিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, সেদিনের পরিস্থিতি আমরা মোকাবিলা করেছি। সেখানে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিল। পুলিশের অনেকগুলো অস্ত্র ছিনতাই হয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকে যেটা বলা হয় রাজনৈতিক কর্মী। আমরা যখন গ্রেপ্তার করি তখন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় না। আমরা দেখি, কোনো একটা ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত থাকে তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয় যেন পরিস্থিতির আর অবনতি না ঘটে।’
লিফলেট বিতরণকারীদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রতিরোধ করা ও কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করাটা কিন্তু অপরাধ। আমরা যদি নির্বাচনি আইনবিধি দেখি, তাহলে দেখবেন, একটা নির্বাচনি প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে বাধার সৃষ্টি করা যাবে না। বাধা সৃষ্টি করতে গেলেই সেখানে সংগত কারণেই একটা ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে আরও বড় ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’