নির্বিচারে প্লাস্টিক না পোড়াতে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আহ্বান
বায়ুদূষণ রোধে নির্বিচারে প্লাস্টিক না পোড়ানোর জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক। তিনি বলেন, প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়া মাইক্রো প্লাস্টিক ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে, তাই প্লাস্টিকের সঠিক ব্যবস্থাপনা জরুরি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক রোববার ‘ইন্টিগ্রেটেড এপ্রোচেচ টু ওয়ার্ড সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ইউজ এন্ড মেরিন লিটার প্রিভেনশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে সামুদ্রিক পরিবেশ সহ প্লাস্টিক দূষণের ওপর একটি আন্তর্জাতিক আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক চুক্তি তৈরি করার জন্য ইন্টার গভর্নমেন্টাল নিগোশিয়েটিং কমিটির (INC3) তৃতীয় বৈঠকের পর্যালোচনার ওপর আয়োজিত সেমিনারে এ আহ্বান জানান হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকি উজ জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহের, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পরিবেশ) মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য, প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম খান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএনসি ফোকাল অব বাংলাদেশ ও উপসচিব মো. মাজেদুল ইসলাম এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন।
মূল প্রেজেন্টেশনে বলা হয়, নিম্নধারার দেশগুলো ক্রমাগত সংলগ্ন সামুদ্রিক পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে উচ্চমূল্য পরিশোধ করছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ প্রস্তাব করেছে যে ‘নিম্নধারার উন্নয়নশীল দেশগুলির’ সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করার এবং আসন্ন আন্তর্জাতিকভাবে আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক প্লাস্টিক চুক্তির পাঠ্যের সাথে সংযুক্তিতে নিম্নধারার দেশগুলোর একটি বিস্তৃত তালিকা যুক্ত করার জন্য। বাংলাদেশ নিম্নধারার উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি নিবেদিত তহবিল প্রবাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য নিম্নধারার উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ছাড়ের সময়কালেরও পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়াও দূষণকারী বেতন নীতি, ইপিআর প্রক্রিয়া ইত্যাদি ব্যবহার করে সমস্ত সাবসিডিয়ারি সংস্থায় নিম্নধারার দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার এবং অ-অনুশীলন আপস্ট্রিম দেশগুলো থেকে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।