নির্বাচনে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়োগের চেষ্টা চলছে : র্যাব
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশজুড়ে প্রার্থীর অনুসারীরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়োগের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব এই তথ্য জানতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান খন্দকার আল মঈন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশব্যাপী বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে প্রার্থীদের অতি উৎসাহী সমর্থকদের কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছেন।
কমান্ডার মঈন বলেন, গত ৭২ ঘণ্টায় বগুড়ার উপজেলা চেয়ারম্যান, কয়েকজন জনপ্রতিনিধিসহ ৫০ জনকে সহিংসতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের নামে সহিংসতার মামলা হয়েছে। পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা সেই তথ্য র্যাবকে দিয়েছেন। এই ধরনের কার্যক্রম যারা চালাচ্ছে, তাদের অনেককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে কি না—জানতে চাইলে কমান্ডার বলেন, ‘বিভিন্ন প্রার্থীর অনুসারীরা ভাড়াটে ব্যক্তিদের নিয়োগের চেষ্টা করেছে ও করতে পারে, এমন তথ্য রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’
অন্যদিকে, রাজধানীর মোহাম্মাদপুর এলাকায় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ‘কবজি কাটা’ ও ‘বিরিয়ানি সুমন’ গ্রুপের অন্যতম হোতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত বুধবার মোহাম্মাদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-২। গ্রেপ্তাররা হলেন—‘কবজি কাটা গ্রুপের’ অন্যতম হোতা মো. হায়াত ওরফে টাকলা হায়াত (৪০), মো. সাগর (১৯), মো. ইসমাইল হোসেন (১৯) ও মো. সুমন (৪৫), ‘বিরিয়ানি সুমন গ্রুপ’-এর মূলহোতা মো. সুমন ওরফে বিরিয়ানি সুমন (২৮), মো. বাদল (২৬), মো. আকাশ (১৯), মো. রাব্বি (২৮) ও মো. রাসেল (৩৮)।
খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও মামলা হয়। বিভিন্ন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়।