কনকনে শীতে কাঁপছে দেশ
পৌষের শেষদিন আজ। সারা দেশে হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু জনজীবন। বেশির ভাগ জেলায় প্রায় সারা দিনই সূর্যের দেখা মেলে না। ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসে ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৯ ডিগ্রিতে। কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। প্রচণ্ড শীতে কাবু রাজধানীবাসীও। ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। ক্ষতির মুখে পড়েছে ইরি-বোরোর বীজতলা।
আবহাওয়া অধিপ্তদরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না আসায় গত কিছুদিন ধরে দিনের তাপমাত্রা সারা দেশে গড়ে ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি কম হচ্ছে। রাতের তাপমাত্রা তেমন কমেনি। এতে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি অনেকটাই বেড়ে গেছে। এটা জানুয়ারি মাসে মাঝেমধ্যেই হয় এবং টানা তিন-চার দিন থাকে। এই অবস্থা আরও কয়েকদিন পর্যন্ত থাকতে পারে।’
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায় না। শনিবারও সূর্যের দেখা মিলেছিল শেষ বিকেলে। তা-ও ১০ মিনিটেরও কম স্থায়ী হয়েছে। ফলে শীতের তীব্রতা এবার একটু বেশিই রয়েছে।’
এদিকে, শীতের কারণে সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। ঠিকভাবে কাজ করতে না পারায় তাদের আয়-উপার্জনে ব্যাঘাত ঘটছে। আবার একটু কাজ করতেই নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। শীত নিবারণের জন্য পুরাতন মোটা কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। এই শীত ও ঘন কুয়াশা কৃষকদেরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠে থাকা আলু ও টমেটো ক্ষেতে দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। এ ছাড়া বোরো ধানের চারাও ঠিকভাবে অঙ্কুরোদগম হচ্ছে না।