পুরোনো পেশায় ফিরলেন সাবেক তিন মন্ত্রী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি হওয়ার পর মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম ও অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। তিনজনই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির নেতা ছিলেন। এই তিনজনের কেউ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। এখন তারা পুরোনো পেশায় ফিরেছেন আবার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসনে আবারও বিজয়ী হয়েছেন অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। আইনজীবী নূরুল ইসলাম সুজন এবারও পঞ্চগড়-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে হবিগঞ্জ-৪ আসনে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের কাছে।
আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির চেম্বারে আড্ডায় মেতেছিলেন এই তিন সাবেক মন্ত্রী। যেখানে তাদের সাথে দেখা করতে আসেন আইনজীবী বন্ধুরা। তিন সাবেক মন্ত্রীর আবার আইন পেশায় ফেরা নিয়ে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন আইন পেশায় থেকে মাঝে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছি। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। এখন আমরা দায়িত্বে নেই। তবে যারা আমাদের মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্ব পেয়েছেন তারাও রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ক। তারাও ভালো করবেন এবং মন্ত্রণালয়ের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমরা আমাদের প্রিয় প্রাঙ্গণ সুপ্রিম কোর্টে আবার আইন পেশায় ফিরে এসেছি। এতদিন এই অঙ্গনকে অনেক মিস করেছি।’
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সিনিয়র আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম বিগত সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও পরবর্তীতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রিত্বের সময়টা আইন পেশা থেকে ছিলেন দূরে। এখন সাবেক হওয়ায় আবার কোর্ট গাউনে ফিরেছেন সর্বোচ্চ আদালতে।
সাবেক রেলমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী নূরুল ইসলাম সুজন এবার মন্ত্রী না থাকায় আইন পেশায় বাধা নেই। তাই রোববার সকালেই চলে এসেছেন সুপ্রিম কোর্টে নিজ চেম্বারে।
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী মাহবুব আলী বিগত সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি এই আইনজীবী। তাই আবার ফিরেছেন পুরোনো পেশায়। রোববার সকালে আইনজীবীর পোশাকে মাহবুব আলীকে দেখা যায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে।