চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির অবস্থান ধর্মঘট
উপাচার্য শিরীন আকতার ও সহ-উপাচার্য বেনু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন শুরু করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক, অধ্যাপক জসিম উদ্দিনসহ সিনিয়র শিক্ষকরা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমান উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করছে। সর্বশেষ গত ১৭ ডিসেম্বার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করে বাংলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের স্বার্থবিরোধী অগ্রহণযোগ্য কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষক নিয়োগ, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে নানা রকম অনিয়মের অডিও ফাঁস হয়েছে। শীর্ষ ব্যক্তিরা নিয়োগ কেলেংকারীর সঙ্গে জড়িত এমন প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়া শীর্ষ ব্যক্তি ছাড়াও যাদের এসব অপরাধে নাম এসেছে তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্তা নেওয়ার দাবি জানান শিক্ষকরা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীন আকতার ও সহ-উপাচার্য বেনু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে আমরা অটল আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষকদের এ আন্দোলন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মসূচীর পাশে এ রকম অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম দেখলাম। এ রকম ঘটনা কখনও ঘটেনি। এটি শিক্ষকদের আন্দোলন নস্যাৎ করার একটি চক্রান্ত বলেও মনে করেন তাঁরা।
শিক্ষরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগবাণিজ্য চক্র নিয়ে খবর প্রচার হলেও অপরাধীরা একেকজন একাধিক পদে থেকে অপরাধ করে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করে আসছিল শিক্ষক সমিতি। জাতীয় নির্বাচন, শীতকালিন ছুটি শেষে আবারও আজ থেকে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষক সমিতি। তবে সমস্যা সমাধান না করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্কুলশিক্ষার্থীদের দিয়ে ক্যাম্পাসে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।