দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
মামলা জটের কারণে জনগণ একদিকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়, অন্যদিকে নানারকম হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হয়। তাই দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদান করে জনগণের হয়রানি ও দুর্ভোগ কমাতে সবোর্চ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
আনিসুল হক টানা তৃতীয়বারের মতো আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় নারী ডেপুটি অ্যাটোর্নি জেনারেল (ডিএজি) ও অ্যাসিসটেন্ট অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) আইনজীবীরা আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। এ সময় তাদের উদ্দেশে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।
মামলাজট নিরসনে অনেকগুলো মামলা ফাস্ট ট্রাক করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ডিএজি ও এএজিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘হাইকোর্টে অনেক রিট পিটিশন করা হয়। এগুলোর ইন্টিমেশন তাড়াতাড়ি করতে হবে।’ তিনি বলেন, “হাইকোর্টে সবচেয়ে বেশি ‘স্টে’ যা ‘ভ্যাকেট’ করার জন্য প্রত্যাশী মন্ত্রণালয় বা সংস্থা সলিসিটর অফিসের মাধ্যমে নির্দেশনা দিতে পারে। সেটা যদি একটু তাড়াতাড়ি প্রসেস করে তথ্যাবলী আইন মন্ত্রণালয়কে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ডিসপোজাল বা নিষ্পত্তির বিষয়ে তড়িৎ কাজ করা সম্ভব হবে।”
ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত। তিনি ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন করেছিলেন ও এই আইনের আওতায় জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই সংস্থার কার্যক্রম স্থবির হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আবারও সরকার গঠন করলে এই সংস্থাকে সচল করা হয়। গত পাঁচ থেকে সাত বছরে এটি একটি সিস্টেমের মধ্যে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণেও একটি আইনগত সহায়তা প্রদান অফিস চালু করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে, যে নেতৃত্ব দিয়েছে সেটা বিগত নির্বাচনে জনমতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।’