ধান-চাল মজুদবিরোধী অভিযান, এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
নওগাঁর মহাদেবপুর ও নিয়ামতপুর উপজেলায় আজ বুধবারও (১৭ জানুয়ারি) ধান-চাল মজুদবিরোধী অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দুই উপজেলায় চারটি প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুদ রাখার দায়ে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বিকেলে মহাদেবপুর উপজেলার দুটি ও নিয়ামতপুর উপজেলার দুটি প্রতিষ্ঠানে এ জরিমানা করা হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে জরিমানার এক লাখ ৮০ হাজার টাকা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মহাদেবপুর উপজেলার হাটচকগৌরী এলাকায় মেসার্স তাসিলমা চালকলে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানে মেয়াদোত্তীর্ণ ধান মজুদ রাখায় ৫০ হাজার টাকা ও বাগাচাড়া এলাকার মেসার্স থ্রিস্টার চালকলে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত চাল মজুদ রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হাসান সোহাগ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অপরদিকে নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের রাউতারা বাজারে অবৈধভাবে লাইসেন্স ছাড়া ধান মজুদ করায় ব্যবসায়ী মোরশেদ আলী বাবুকে এক লাখ টাকা এবং মেসার্স নেহা ট্রেডার্স নামে এক চালকলে চাল মজুদ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ মোরশেদ এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় মহাদেবপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মোহাজের হাসান, নিয়ামতপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পারভেজ আনোয়ার, নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান, সরস্বতীপুর গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র মাহাতো, মহাদেবপুর থানার ওসি মো. রুহুল আমিন, মহাদেবপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক সোহেল রানা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে অতিরিক্ত চাল বিক্রি ও মেয়াদোত্তীর্ণ ধান ধ্বংস করার জন্য নির্দেশ দেন।