লড়াইকে আরও সংগঠিত, শক্তিশালী করতে হবে : নজরুল ইসলাম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এই লড়াই কাউকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কিংবা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানোর লড়াই না। এই লড়াই আপনার আমার অধিকার, গুরুত্ব ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই। এই লড়াই আমাদের বজায় রাখতে হবে। এই লড়াইকে আরও সংগঠিত, শক্তিশালী এবং বেগবান করতে হবে। এই লড়াইয়ে আমাদেরকে জিততে হবে। না জেতা পর্যন্ত আমাদের সমস্যার সমাধান হবে না।
আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সাইহাম স্কাই ভিউ টাওয়ারের সামনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
সকাল সাড়ে ১১টায় ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না : গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ শীর্ষক এই কর্মসূচি হয়। টেবিলে বিছানো কাপড়ে সর্বস্তরের মানুষজন ৭ জানুয়ারির ভোটের বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়ে স্বাক্ষর করেন। কর্মসূচির তৃতীয় দিন শুরুর পর বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। বক্তব্যের মাঝে গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এই সরকারের জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় না বহু বছর। এ কারণে আমাদের স্বার্থ দেখার কোনো দায়বোধ তাদের নেই। আমরা সেজন্য গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা আমাদের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই। এজন্য না যে, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই।’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘এই গণস্বাক্ষরসহ অন্য কর্মসূচিগুলো আমাদের মূল লড়াইকে বেগবান করবে। কিন্তু এটা মূল লড়াই না। যারা মূল লড়াইকে বেগবান করার জন্য ঐক্যকে সমৃদ্ধ করছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। অবৈধভাবে জোর করে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় আন্দোলন করেছি। গণসভা, গণমিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশসহ লক্ষ লক্ষ মানুষের বিভিন্ন কর্মসূচি করেছি। কিন্তু কেউ লজ্জাহীন হলে তো লজ্জা দেওয়া যায় না। জনগণের প্রতিনিধি হয়ে যারা জনগণের সেবা করতে চান তাহলে হলেন রাজনীতিবিদ। আর জনগণের সমর্থন ছাড়াই যারা জনগণকে শাসন করতে চায় তারা তো গণবিরোধী শাসক। আমরা সেরকম একটি গণবিরোধী শাসক চক্রের অধীনে আছি।’
কর্মসূচিতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ বক্তব্য দেন।