মসুর ডাল, ভোজ্যতেল, সার ও এনএলজি কিনবে সরকার
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), সার, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল কিনবে সরকার। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) প্রথম বৈঠকে বেশ কয়েকটি পাইকারি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৪৭০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজির এলএনজি কার্গো আমদানি করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রো বাংলা।
কমিটি সার আমদানির জন্য আটটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে চারটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চারটি বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে মোট এক লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানি করবে।
বিএডিসি সৌদি আরবের কোম্পানি মা’দেন থেকে টনপ্রতি ৫৮৯ ডলারে ২৫৯ কোটি ১৬ লাখ টাকায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার, মরক্কোর কোম্পানি ওসিপি, এসএ থেকে টন প্রতি ৩৮৬ ডলার মূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার ১১২ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় এবং মরক্কোর একই কোম্পানি থেকে প্রতি টন ৫৪৭ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে, ২৪০ কোটি ৯০ লাখ টাকায় আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার এবং রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন প্রোডিনটর্গ থেকে ৩০ হাজার এমওপি সার প্রতি টন ৩০২ ডলার দরে ৯৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকায় আমদানি করবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক চারটি প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) মোট এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করবে। এর মধ্যে কাতারের মুনতাজাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া ১০৩ কোটি ৪২ লাখ টাকায় এবং প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলারে ইউরিয়া আমদানি করা হবে। কাফকো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া ১০৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় প্রতি মেট্রিক টন ৩১৬ দশমিক ৬২ ডলারে আমদানি করা হবে। সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ দশমিক ৪২ ডলারে, ১০৩ কোটি ৪২ লাখ টাকায় ৩০ হাজার বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া এবং একই সৌদি কোম্পানি থেকে ১০২ কোটি ৪২ লাখ ডলার দরে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
কমিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তাৎক্ষণিক উত্থাপিত তিনটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সংগ্রহ করবে। প্রতি কেজি ১০১ টাকা ১৩ পয়সায় ৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকায় এসব ডাল কেনা হবে। এ ছাড়া আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন বগুড়ার রায় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড ও ঢাকার নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড থেকে প্রতি কেজি ১০৫ দশমিক ৪৫ টাকা দরে ১০৫ দশমিক ৪৫ কোটি টাকায় কেনা হবে। এ ছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) এক কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল প্রতি লিটার মূল্য ১৫৮ টাকা দরে ১৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেড ও আলী ন্যাচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে কেনা হবে। খোলাবাজারে এক কোটি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি।