চেক প্রতারণা মামলায় আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রীর কারাদণ্ড
চেক জালিয়াতির মামলায় আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদার ও তার স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরীর ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তসরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। বিচারক রায়ে আসামিদের কারাদণ্ডের পাশাপাশি তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড বা জরিমানা করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নিকুঞ্জ বিহারী আচার্য্য এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে আদালতের নজরে এনেছি। আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করবো।
আইনজীবী আরও বলেন, ২০২২ সালে বাদী ইয়াহামা এমটি ১৫ বাইক আলেশা মার্টের থেকে ক্রয়ের জন্য ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা আসামির প্রতিষ্ঠানে পরিশোধ করেন। কিন্তু আসামি বাইক না দেওয়ায় বাদীকে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকার চেক প্রদান করেন। সেই চেকের টাকা পরিশোধ না হওয়ায় এই মামলা করা হয়েছে।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালে বাদী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান রিপনকে ৩ লাখ ৪৬ হাজার পাঁচশত টাকার একটি ব্যাংকের চেক দেন আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদার ও তার স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরী। পরবর্তীতে বাদী চেক ব্যাংকে উপস্থাপন করলে তা অপর্যাপ্ত তহবিল মর্মে ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসে।
নথি থেকে আরও জানা গেছে, বাদীর চেক ডিজঅনার হওয়ার পরে টাকা ফেরত চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন। কিন্তু এরপরেও টাকা ফেরত না দেওয়ায় আসামির বিরুদ্ধে সালে ২০২২ সালের ১৯ মে ঢাকার সিএমএম আদালতে এনআই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় মামলা করে পুলিশ।