নিষেধাজ্ঞায় কাঁকড়া ধরে ২০ জেলে কারাগারে
চলমান নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনের রেখামারী এলাকায় কাঁকড়া ধরার সময় ২০ জেলেকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে বনবিভাগ। এ সময় ১১টি নৌকা ও কাঁকড়া ধরার বিভিন্ন সরঞ্জামও জব্দ করা হয়।
আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে এসব জেলেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এসব জেলেকে আটক করা হয়।
আটক জেলেরা হলেন সোহাগ খান, মামুন ফকির, কৃষ্ণ মণ্ডল, নুর সাদেক, শহীদ শেখ, হরমুজ মুছল্লি, সুজন গাজী, আবদুল্লা শেখ, ছেলে রবিউল শেখ, মোকলেস শেখ, সাইফুল ফকির, হাসান শেখ, মো. বোরহান, মো. শাহাদত, জসিম মল্লিক, ছয়ফুল্লা মল্লিক, জোবায়ের সরদার, সবুজ শেখ, হোসেন গাজী ও ইয়াসিন গাজী। তাঁদের বাড়ি মোংলার সোনাইলতলা ও রামপালের বড় কাটালী এলাকায়।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মো. মহসিন আলী জানান, এখন কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম চলছে। তাই জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস কাঁকড়া ধরা বা কোনো নৌযান বনে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা অবৈধভাবে বনে প্রবেশ করে কাঁকড়া শিকার করছিল। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে পশুর নদ সংলগ্ন সুন্দরবনের রেখামারী খাল থেকে তাদের আটক করা হয়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে কাঁকড়া ধরার ফাঁদ, কুইচ্চা মাছ (কাঁকড়ার খাবার), ককশিটের বাক্সসহ ১১টি নৌকা জব্দ করা হয়।
আটক জেলেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলার পর আজ বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা।