অরিত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় ভিকারুননিসার দুই শিক্ষকের রায় আজ
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিন্নাত আরার বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণা করবেন আদালত। ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই রায় প্রচার করবেন।
এর আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। ২১ জানুয়ারি রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক আজ রায়ের দিন ধার্য করেন।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ওই বছরের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়। এরপর বিচারক অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অরিত্রী নকল করেছে—এমন অভিযোগ তুলে তার মা-বাবাকে স্কুলে নিয়ে যেতে বলা হয়। অরিত্রী তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরের বাসায় ফিরে বাবা দিলীপ অধিকারী দেখেন, অরিত্রী নিজের কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস নেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা করেন।