আমদানি নির্ভরতা কমাতে গ্যাস অনুসন্ধানের তাগিদ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর
বর্তমানে দেশে প্রতিদিন এক হাজার এমএমসিএফ গ্যাস প্রয়োজন হয়। এর মাত্র ২৩ শতাংশ আমদানি করতেই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে সরকারকে। এমন তথ্য উল্লেখ করে আমদানি নির্ভরতা কমাতে নতুন নতুন গ্যাসকূপ খনন করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস পেলে প্রতি ইউনিটে খরচ হয় চার টাকা। আর সমপরিমাণ গ্যাস আমদানি করলে খরচ হয় প্রায় ৬০ টাকা। সরকার এত পরিমাণ টাকার যোগান কোত্থেকে দেবে?
প্রতিমন্ত্রী আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিলেট জেলার কয়েকটি কূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় তাঁর সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তেল- গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান-বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আরও ১০০টি কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে আগামী দুই বছরে আরও ৬০০ থেকে ৬৫০ এমএমসিএফ গ্যাস উত্তোলন করতে চাই। সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্র থেকে আমরা আরও এক দশমিক ছয় ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাস পাওয়া যাবে। এর আগে কৈলাশটিলায় সাতটি কূপ খনন করার পর প্রতিটা কূপেই গ্যাস পাওয়া গেছে।
বিগত বিএনপি জোট সরকারের সমালোচনা করে নসরুল হামিদ বলেন, বিএনপি জোট সরকারের আমলে গ্যাসকূপ খননের জন্য একটা রিগও কেনা হয়নি। আমাদের সরকারের আমলে চারটি রিগ কেনা হয়েছে। এগুলো দিয়ে এখন বাপেক্স নতুন নতুন কূপে খনন কাজ চালাচ্ছে।