সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে : ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, পবিত্র কোরআনের ৩০ প্যারা ডিজিটালাইজেশন করাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গতকাল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী গত ৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন তার এই প্রস্তাব সমর্থন করেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়ে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন সম্প্রসারণ ও সুউচ্চ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে। আশকোনা হজ ক্যাম্প হজ যাত্রীদের জন্য সময়োপযোগী করা হয়েছে। হজ ক্যাম্পের সাত তলা উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ই-হজ বা ডিজিটালাইজেশন হজ ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে।’
ফরিদুল হক খান বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১৫ বছরে রেকর্ড সংখ্যক ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৩৫ জন হজ করেছেন। সরকার যাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩ এবং চট্টগ্রাম শাহী মসজিদ আইন ২০২৩ প্রণয়ন করেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম উপজেলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ইমাম মোয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। ওয়াকফাস্টের চাঁদা আদায় ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৩ অর্থবছর পর্যন্ত পাঁচ বছরে ওয়াকফ চাঁদা আদায় হয়েছে ৪১ কোটি ৬৫ লাখ ৮৪ হাজার ৪৯৩ টাকা।’
ধর্ম মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে মুসলিম সম্প্রদায়ের মতো হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামগত উন্নয়ন সংস্কার ও ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও ধর্মীয় নেতাদের প্রশিক্ষণসহ আন্তঃধর্মীয় সংস্কৃতি বিকাশে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০১৮, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০১৮ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। মসজিদভিত্তিক বয়স্ক ও গণশিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। একইভাবে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে মন্দিরভিত্তিক শিশু গণশিক্ষা কার্যক্রম, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্যাগোডা ভিত্তিক প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে চার্চ কেন্দ্রিক সান ডে স্কুলে অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।’