বাহারি নামে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য, র্যাবের জালে ধরা অর্ধশত
বেড়েই চলেছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। বাহারি নামে গ্যাং সদস্যরা জড়িয়ে আছেন নানা অপরাধে। চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিতেই শেষ নয়, সেইসব অপরাধ; তারা জড়িত অপহরণ, ধর্ষণের সঙ্গেও। পাড়া মহল্লায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলে তাদের ইশারায়।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-১০-এর একাধিক দল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কেরানিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। আজ সহকারী পুলিশ সুপার এম জে সোহেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে সময় ১১টি লাঠি, ১৭টি চাকু, পাঁচটি ছোড়া, একটি সুইচ গিয়ার চাকু, একটি ছুরি, একটি চাপাতি, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার মেশিন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শাহাদাত হোসেন (৪৪), রাজিব হাওলাদার (২৭), শাওন দাস (২১), আশরাফুল (১৯), ইভান (২১), তাইজুল ইসলাম (২১), আলম হোসেন (১৯), সুজাল হোসাইন রিমন (১৯), রতন (৩৬), জুয়েল (২৮), রায়হান খাঁন (২২), অদিত খান লিমন (২৪), সাইফুল ইসলাম (২৭), গোলাম রাব্বি (২৫), মাইদুল ইসলাম (২২), ইমরান মোল্লা (২৩), নাঈম (১৯), হাসান (২১), শাহজাহান (৪২), আল আমিন (৩৬), সিরাজুল ইসলাম (২৮), মহসিন (৩০), রাজা (২৮), খলিলুর রহমান মিলন (২৫), আবু বক্কর সিদ্দিক (২৮), মৃদুল (২২), ইউসুফ (২৮), রাশেদুল হাসান সাঞ্জু (২৩), ইব্রাহীম (২৮), হাবিব আহম্মেদ হিরা (১৯), সজিব (১৯), আবির হোসেন (১৭), শাকিব সিকদার (২৫), হৃদয় (২২), শান্ত (২১), সাব্বির হোসেন সিয়াম (১৮), শাহিন (১৮), ইমরান হোসেন রিফাত (১৮), সজীব (২১), ফেরদৌস (২১), রাসেল (৪০), আরজু (৪২), শাকিল (১৯), সাগর (৩৫), আলামিন (৩৪), বিল্লাল হোসেন (২৬), রুমান মিয়া (২৪), রাসেল সর্দার (২৫), বিপ্লব হোসেন (২৬) ও আসিফ (১৯)।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
র্যাব জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাং কালচার সারাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোররা জড়িয়ে পড়ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরণও পাল্টে যাচ্ছে যেমন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও নাশকতা থেকে শুরু করে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা। বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে কিশোররা দিন দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে, এমনকি হিরোইজম প্রকাশ করতেও কিশোররা পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং কালচার গড়ে তুলছে। বিগত এক বছরে র্যাবের অভিযানে ৩৪৯ জন কিশোর গ্যাংয়ের বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে র্যাব।