সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি : মিজানুর রহমান মিনু
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করেছে। এর কোনো ঘটনার বিচার হয়নি। সুসময় এলে সব হত্যা-গুমের বিচার করবে বিএনপি।’
আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নওগাঁয় গুপ্ত হামলায় নিহত বিএনপিনেতা কামাল আহমেদ ও কারাবন্দি অবস্থায় মারা যাওয়া মতিবুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
নওগাঁ পৌরসভার রজাকপুর এলাকায় নিহত কামাল আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহীর সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, শেখ রেজাউল ইসলাম, মামুনুর রশিদ রিপন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম রওশন উল ইসলাম, সদস্য সচিব রুহুল আমিন মুক্তার, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি যাকের আলম রোমিও, সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা প্রমুখ।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, কামাল আহমেদকে হত্যার ঘটনার পর তিন মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি এই ঘটনার রহস্য পর্যন্ত উদঘাটন করতে পারেনি। অথচ নিহত কামালের স্বজনরা ও এলাকাবাসী সবাই জানে কামালকে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জড়িত। ঘাতকদের সবাই চিনে। বিএনপির সুসময় এলে এই হত্যার বিচার করা হবে।
এ সময় নিহত বিএনপিনেতা কামাল আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের সান্ত্বনা দেন মিজানুর রহমান মিনু। শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত বিএনপিনেতাদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
গত বছরের ১৮ অক্টোবর রাত সোয়া ৯টার দিকে নওগাঁ-সান্তাহার সড়কের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় কামাল আহমেদকে বহনকারী অটোরিকশার গতি রোধ করে হামলা করে হেলমেট ও মাস্ক পরা দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক কামাল আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরের দিন নওগাঁ সদর থানায় নিহত কামাল আহমেদের ছেলে নবাব আলী অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহত কামাল আহমেদ নওগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি। এ ছাড়া তিনি নওগাঁ জেলা ট্রাক বন্দোবস্তকারী কমিটির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা মতিবুল ইসলাম নওগাঁ কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা যান। তিনি পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।