মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতির মুক্তি চাইলেন মির্জা ফখরুল
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে তিনি উলফাতের মুক্তি দাবি করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এই প্রতিবাদ ও দাবির কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে ডামি আওয়ামী লীগ সরকার। দেশের মানুষের রক্ত নিঙড়ে নিয়ে আগ্রাসী ফ্যাসিবাদ এখন ভয়াল মূর্তি ধারণ করেছে। দেশের মানুষের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে কর্তৃত্ববাদ চিরস্থায়ী করার জন্য শেখ হাসিনা এক নির্দয়-হিংসাশ্রয়ী নীতি অবলম্বন করছেন। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারীদের দৌরাত্ম্য সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। গুম-খুন-হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার ও ফরমায়েশি সাজা প্রদানের মাধ্যমে বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে। স্বাধীন দেশে মানুষের সংবিধান স্বীকৃত অধিকারগুলোকে হরণ করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মধ্যযুগীয় রাজার শাসন কায়েম করেছে।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠলেও আওয়ামী সরকার জনগণের সঙ্গে নিষ্ঠুর তামাশা করছে। সরকারের অনাচার থেকে জনদৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নিতেই মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের হিড়িক থামছে না। জনাব ইশতিয়াক আজিজ উলফাত কেবল একজন মুক্তিযোদ্ধাই নন বরং তার পুরো পরিবারও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত। এমনকি তার বড় ভাই শহীদও হয়েছেন। আজ মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে প্রকারন্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই অবমাননা করা হলো।
বিএনপির মহাসচিব বিবৃতিতে ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান।
গতকাল মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা দলের পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয় থেকে উলফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। দলের সহ দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।