২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই : টিআইবি
দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসগুলোর মধ্যে শতকরা ২৪ ভাগ বাসের ফিটনেস নেই আর রুট পারমিট নেই ২২ শতাংশ বাসের। এ তথ্য পেশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহণ ব্যবসায় শুদ্ধাচার’শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে টিআইবির গবেষক মুহা. নূরুজ্জামান ফারহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আলম এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘চাঁদাবাজির এই হিসাব খুবই রক্ষণশীল। বাস্তবে এর চেয়ে বহুগুণ বেশি চাঁদাবাজি হয়। এই চাঁদার ভাগ নানা পর্যায়ে যায়। যেহেতু খাতটি রাজনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রণে, সেহেতু চাঁদার নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়কে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী প্রত্যেকটি বাসের জন্য নিবন্ধন ও তিন ধরনের সনদ বাধ্যতামূলক থাকলেও ৪০.৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধনসহ কোন না কোন সনদের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়াও ১৮.৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮.৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস শ্রমিকদের দৈনিক প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। যাদের মধ্যে ৮২ শতাংশের কোন নিয়োগপত্র নেই, ৬৯.৩ শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি। যাত্রী সেবা প্রসঙ্গে সংস্থাটি দাবি করেছে, জরিপে অংশগ্রণকারী ৭৫.৮ শতাংশ যাত্রী, ৪৮ শতাংশ শ্রমিক এবং ৫১.৮ শতাংশ মালিক বাসের মাত্রাতিরিক্ত গতিকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
২২.২ শতাংশ কর্মী/শ্রমিকদের মতে, মদ্যপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে চালক গাড়ি চালান এবং কন্ডাক্টর/হেলপার/সুপারভাইজার বাসে দায়িত্ব পালন করেন- সিটি সার্ভিসের ক্ষেত্রে এ হার ৪৫.৯ শতাংশ এবং আন্তঃজেলার ক্ষেত্রে ১৯.২ শতাংশ বলে জানায় সংস্থাটি।