যুথীর বাসায় ডিবির অভিযানে গ্রেপ্তার ৫
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। এরপর রাজধানীর গুলশানে সম্পাদক পদপ্রার্থী (স্বতন্ত্র) নাহিদ সুলতানা যুথীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গতকাল শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে এ অভিযান চালানো হয়। তবে এ সময় নাহিদ সুলতানা যুথীকে বাসায় পাওয়া যায়নি।
এর আগে এ ঘটনায় সম্পাদক পদপ্রার্থী (স্বতন্ত্র) নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। মামলায় আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
মামলায় আসামিরা হলেন—অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার পর রাতেই বিএনপিপন্থি ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দুদিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হলেও গণনা নিয়ে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। পরে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় ব্যালট। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্যালট সিলগালা অবস্থায় পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।