তিন ভুয়া ‘ডিবি পুলিশ’ যেভাবে ধরা পড়ল আসল ডিবির হাতে
ডিবির পোশাক পরে দিনকাল বেশ ভালোই যাচ্ছিল তাদের। কারো হাতে ওয়াকিটকি, কারো বা হাতে হ্যান্ডকাপ। এভাবেই নানা অভিযানে ‘ধরা আর ছাড়ার’ ব্যবসাটা বেশ ভালোই চলছিল তাদের। তবে বিধি বাম। শেষমেষ ধরা পড়ে গেল আসল ডিবির হাতে। ডিবির আলোচিত নারী কর্মকর্তা মোবাশ্বিরা হাবীব খান তাদের পাকড়াও করেন। তাদের হেফাজত থেকে জব্দ করা হয় খাকি রঙের ডিবি পুলিশের পোশাক, খেলনা ওয়াকিটকি, এক জোড়া স্টিলের তৈলি হ্যান্ডকাপ, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া নগদ ৪০ হাজার টাকা আর ভুয়া সাংবাদিকের চারটি আইডি কার্ড।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া চৌরাস্তা আল-মদিনা হোটেলের সামনে থেকে আটক করা হয় ডিবির ভুয়া তিন সদস্যকে।
এরা হচ্ছে, মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার সংগ্রামবীর গ্রামের মৃত ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে হাবিবুর রহমান বাবু (৪৫), শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার করনহোগলা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান সরদারের ছেলে লুকমান হোসেন (৬৩) ও কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার কনেশ্রী বিলপাড়া গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে গোলাম হোসেন (৩৫)।
এদের মধ্যে গোলাম হোসেন বাদে প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে।
ডিবি পুলিশের পোশাক পরে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অপহরণ, অবৈধ আটক, চাঁদা দাবি ও আদায়সহ মারধর করে সর্বস্ব ছিনতাই ঘটনার তদন্তে নেমে এই চক্রের সন্ধান পায় ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজ দপ্তরে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং এ আসেন ঢাকা জেলা ডিবির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্বিরা হাবীব খান।
মোবাশ্বিরা হাবীব খান জানান, ডিবি পুলিশের পরিচয়ে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটনের বিষয়টি আমলে নিয়ে তাদের শনাক্তে ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান স্যারের নির্দেশে আমার তত্ত্বাবধানে একটি টিম গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। ডিবি (দক্ষিণ) এর ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে দলটি বিভিন্ন আলামতসহ হাতেনাতে আটক করে ভুয়া ডিবির তিন সদস্যকে।
আটকরা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্বিরা হাবীব খান।