ভারতের আনুগত্য নিয়ে সরকার দেশ চালাচ্ছে : হাফিজ উদ্দিন
ভারতের আনুগত্য নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। আজ শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজকে একটি রাষ্ট্রের প্রতি নতজানু যে পররাষ্ট্রনীতি এবং প্রতি বিষয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকা এটা বর্তমান শাসক দলের অভ্যাস। তাদের সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) যখন বিপদে পড়ে তখন বলেন যে, দিল্লি আছে আমরা আছি। এই ধরনের কথা বলতে লজ্জ্বাবোধও তাদের হয় না। দিল্লি থাকলে এই সরকার আছে। কতখানি নির্লজ্জ্ব প্রতিবেশি দেশের আশ্রয়ে আনুগত্য স্বীকার করে যাচ্ছে। আমরা কি এজন্য যুদ্ধ করেছি? রাওয়ালপিণ্ডি থেকে সরে এসে আমরা কি দিল্লির অধীনস্থ হওয়ার জন্যই যুদ্ধ করেছি? কখনোই না। বাংলাদেশের স্বাধীনচেতা মানুষ কখনোই এ ধরনের গোলামী মেনে নেবে না।’
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘দুঃখ লাগে ৮০ বছর বয়েসে গাড়ি পোঁড়ানো মামলায় এই স্বাধীনতার মাসে জেলে যেতে হল। আমি আশা করি এজন্যে তারা (ক্ষমতাসীনরা) একদিন লজ্জিত হবে, মুক্তিযোদ্ধাদের এভাবে অসম্মানের কারণে। অপরাধ করলে নিশ্চয়ই সাজা হবে। কিন্তু আমি এবং আলতাফ হোসেন চৌধুরী জনতা ব্যাংকের গাড়ি পোড়াতে গিয়েছিলাম? সেদিন তো কোনো ঘটনাই ঘটেনি ঢাকা শহরে।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, দেশে যা কিছু করে ভালো-খারাপ সব কিছু বিএনপি করেছে। আমরা ক্ষমতায় নেই এত বছর… এই জিনিসপত্রের দাম নাকি বিএনপি বাড়াচ্ছে। তাদের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য। আমিও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের শেষ ছয় মাস। চেষ্টা করেছি বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে। ওই সময় বাজার দর মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমরা জনগণকে খেজুরের বদলে বরই খাওয়ার উপদেশ দেইনি। আজকে মানুষ দিশেহারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সাহাবুদ্দিন রেজার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হালিম মিঞা, সৈয়দ সরোয়ার আলম, অ্যাডভোকেট আবদুস সামাদ, ফরিদ উদ্দিন, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শাহ নেছারুল হক প্রমুখ।