আওয়ামী সরকার দেশকে লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে : দিলারা চৌধুরী
কোন দেশের উন্নয়ন মানে রোড ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট আর বড় বড় বিল্ডিংয়ের উন্নয়ন নয়। দেশের উন্নয়ন মানে দেশের মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন। উন্নয়নের নামে এই দখলদার আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৩ মার্চ) এবি পার্টি আয়োজিত মাসব্যাপী গণইফতারের ১২তম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. দিলারা চৌধুরী একথা বলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম। এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় গণইফতারে আরও বক্তব্য দেন পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন ও সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি প্রমুখ।
ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, দেশে চলছে ভুয়া উন্নয়নের মহোৎসব। আওয়ামী লীগ জনগণকে প্রতারিত করে বিগত তিন টার্ম ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতা দখল করে জনগণকে উন্নয়নের গান শোনাচ্ছে। শুধু কিছু ব্রিজ আর বড় বড় বিল্ডিং করলেই দেশে উন্নয়ন হয় না। উন্নয়ন মানে দেশের মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন। মানুষ পনের বছরে ভোট দিতে পারেনি, দ্রব্যমূল্যের কারণে খেয়ে পরে জীবন ধারণ কঠিন হয়ে উঠেছে। অথচ সরকার আমাদের উন্নয়নের অসত্য গান শোনাচ্ছে। মূলত উন্নয়নের নামে বিশেষ সিন্ডিকেট করে দেশকে লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। যে স্বাধীনতার চেতনার কথা তাঁরা বলে, সেটা বাস্তবায়ন হলে দেশে গরিব থাকার কথা নয়। আজ গরিব মানুষের পড়াশোনা করার উপায় নাই, চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নাই। এভাবে এই দেশ চলতে পারে না। আপনাদেরকে নিজেদের অধিকার আদায় সচেষ্ট হতে হবে। তিনি এবি পার্টির গণইফতার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিগত পনের বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে না, আমি নিজেও ভোট দিতে পারিনি। তিনি জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ভোট আপনাদের রাজনৈতিক অধিকার। মানুষ যখন রাজনৈতিক অধিকার হারায় তখন তার অন্যকোন অধিকার আর থাকে না। সরকার যখন ভোট ছাড়াই ক্ষমতা দখল করে তখন আর জনগণের কথা তাদের চিন্তায় থাকে না। এই সরকারেরও একই অবস্থা। ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনিদের দমন করছে এই সরকারও তেমনি বিরোধীদল সমূহকে দমন করে ক্ষমতায় টিকে আছে ভারতের সহায়তায়। এখন আমাদের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখতে হবে। নিজেদের সচেতন হতে হবে। নিজের অধিকার নিজেকেই আদায় করতে হবে।
গণইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, রুনা হোসাইন, রিপন মাহমুদ, শরণ চৌধুরী, আমেনা বেগম, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ি থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফ, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।