লক্ষ্মীপুরে ইফতার খেয়ে একই পরিবারের ৯ জন অচেতন
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ইফতার খেয়ে শিশুসহ একই পরিবারের ৯ জন অচেতন হয়ে পড়েছে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসাপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গতকাল শনিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তোরাবগঞ্জ গ্রামের নুরনবী হুজুরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থরা হলেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তার বাবা নুরনবী, মা আলেয়া বেগম, স্ত্রী ঝুমা আক্তার, ভাবি নাইমা আক্তার, তানিয়া আক্তার, ভাই আরিফ হোসেন, ৭ বছর বয়সী ভাতিজা আয়াত, ৭ মাস বয়সের ভাতিজা নাইম। এর মধ্যে মঞ্জুকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদেরকে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শিশু নাইম তার মায়ের বুকের দুধ খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে।
আজ রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে ব্যবসায়ী মঞ্জুর প্রতিবেশী ভাতিজা জাফর আহমেদ ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্ধ্যায় ইফতারের পর রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মঞ্জু আমার সঙ্গে ছিল। তখন তাকে অসুস্থ দেখায়। দোকানে এসে দেখি তার ছোট ভাই আরিফও নেই। পরে বাড়িতে গিয়ে দেখি সবাই বমি করে অসুস্থবস্থায় শুয়ে আছে। বিষয়টি স্বাভাবিক ভেবে রাতে তাদেরকে হাসপাতাল নেওয়া হয়নি। ভোররাতে খবর নিয়ে দেখি, তারা সবাই অচেতন হয়ে পড়ে আছে। কেউই সেহরী খেতে উঠতে পারেনি। তাৎক্ষণিক তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মঞ্জুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জাফর আহমেদ ভূঁইয়া আরও বলেন, শনিবার বিকেলে রান্না করতে গেলে মঞ্জুর স্ত্রী ঝুমা হলুদের সঙ্গে সাদা রঙের কিছু মেশানো দেখতে পান। বিষয়টি তিনি তার শাশুড়ি আলেয়াকেও জানান। তারা বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিয়েছে। ওই হলুদই তরকারি রান্নায় ও ইফতার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। সে খাবার খেয়েই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাত ৯টার পর থেকে তারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে কেউ হলুদের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে রেখেছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানা নেই। কেউ আমাদেরকে জানায়নি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আমিনুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, অচেতন অবস্থায় ৯ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এরমধ্যে ৮ জনকে আমাদের এখানে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একজনকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।