মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
মেঘনা নদীতে ভ্রমণতরী ডুবির ঘটনায় শিশু রাইসুলসহ আরও তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যে নৌ-পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা মেঘনার পৃথক এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
ভৈরব নৌফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুজ্জামান ও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, সকাল ৭টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরবর্তী ভৈরব বাজারের সায়দুল্লাহ মিয়ার ঘাট এলাকায় কচুরিপানার সাথে ভাসমান অবস্থায় বেলন চন্দ্র দে এবং সকাল ৮টার দিকে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার লাশ পলতাকান্দা মাছবাজারের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। সকাল ১০টার দিকে ভৈরবের কালিপুর পাওয়ার স্টেশন সংলগ্ন মেঘনা নদী এলাকায় ভাসমান অবস্থায় শিশু রাইসুলের মরদেহটি পাওয়া যায়।
এই নিয়ে মোট নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে অভিযান শেষ করে নৌ-পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা।
গত শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরসোনারামপুর এলাকায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ভ্রমণতরী সুন্দরবন সার্ভিস ২০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। এতে ১২ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন ৯ জন। ওইদিন রাতেই শহরের কমলপুর এলাকার সুবর্ণা বেগম নামের একজনের লাশ উদ্ধার করে দমকল ও ফায়ার সার্ভিসের সমন্বিত উদ্ধারদল।
পরে শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে শহরের আমলাপাড়া এলাকার চন্দন দের শিশুকন্যা মেঘলা দে আরাধ্য (১২) ও ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৫) এবং রোববার (২৪ মার্চ) বিকেলে দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি এলাকা থেকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী এলাকার রূপা দে, নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের আনিকা আক্তার ও পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার শিশুকন্যা মাহমুদা বেগম ইভার মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ ও দমকলকর্মীদের সমন্বিত উদ্ধারকারী দল। এর আগে রোববার সকাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে ডুবে যাওয়া ভ্রমণতরীটি চরসোনামপুর চরের তীরবর্তী স্থানে উঠানো হয় দুপুর ১২টা নাগাদ। কিন্তু সেটিতে তখন কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।