‘অটিজম বৈশিষ্ট্যের ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে’
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসএ্যাবিলিটি (এনডিডি) বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের যথাযথ পুনর্বাসনে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথ আরও প্রসারিত হবে—এটাই সবার প্রত্যাশা।’
আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ‘১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।
রাষ্ট্রপতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় এ বছরও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এ উপলক্ষে আমি দেশের সব অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং অটিজম নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন : শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে।”
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদের পরিবার ও সমাজেরই অংশ। সরকার প্রতিবন্ধী ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত আন্তরিক। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমন্বিত উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে সরকার ইতোমধ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০১৩’, ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’, ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮’ এবং ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। প্রতিবন্ধিতার ধরণ ও মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসা ও থেরাপি সেবা প্রদানের পাশাপাশি পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
‘অটিস্টিক ব্যক্তিদের কাউন্সেলিং ও থেরাপি সেবা প্রদানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতোমধ্যে অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ ছাড়া অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং অন্যান্য এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নত করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘অটিজম ও এনডিডি শিশু-ব্যক্তিদের জীবনব্যাপী সেবা ও ভালোবাসার প্রয়োজন হয়। তাই অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কাউন্সেলিং ও রেফারেল সেবা এবং সহায়ক উপকরণ ও সহায়ক প্রযুক্তি প্রদান করে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।’
১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন রাষ্ট্রপ্রধান।