হতাশ করব না, প্রত্যাশা পূরণ করব : এ কে আজাদ
আগামী পাঁচ বছর চেষ্টা করব আপনারা যে প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন, সেই প্রত্যাশা পূরণের। আমি আপনাদের হতাশ করব না, আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ করব।
কথাগুলো বলেছেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ। আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নে এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. যশোদা জীবন দেবনাথের বাড়ি প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলে কথাগুলো বলেন তিনি।
এ কে আজাদ বলেন, আপনারা আমাকে যে সম্মানে সম্মানিত করেছেন—আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাকে ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করে আমাকে সম্মানিত করেছেন, আপনারাও সম্মানিত হয়েছেন। এর পেছনে আপনাদের অনেক ত্যাগ ছিল, আপনারা অনেকে মার খেয়েছেন, অনেকে জেলে গেছেন। অনেকের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে, সব বাধা উপক্ষো করে আমাকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন।
এ কে আজাদ আরও বলেন, বছরে একবার বা দুবার ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আপনাদের সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আপনারা আপনাদের সন্তানদের মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করেন, আমি আপনাদের প্রতিটা ঘরে চাকরির নিশ্চয়তা দেব। তখনই হবে আপনাদের প্রতি আমার স্থায়ী সহায়তা দেওয়া। এতে আপনার সন্তান স্বাবলম্বী হবে, আপনার পরিবারটা স্বাবলম্বী হবে।
বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে গেরদা ইউনিয়নের পশরা গ্রামে ট্রেনিং সেন্টার করেছি উল্লেখ করে এ কে আজাদ বলেন, সেখানে বিনামূলে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। তাদের যাতায়াত ভাড়াও আমরা দিচ্ছি, সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া ও থাকা ফ্রি। এক থেকে তিন মাসের মধ্যে চাকরি দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। বেতন হবে ঢাকায় ২৫ হাজার টাকা করে। এ ছাড়া থাকা খাওয়া সেখানে ফ্রি থাকবে। আমি পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার প্রতিটা ইউনিয়নে একটি করে ট্রেনিং সেন্টার করে দিব।
এ কে আজাদ আরও বলেন, চাঁদপুরেও একটি ট্রেনিং সেন্টার করে দিব। এখানে যশোদা জীবন দেবনাথ আছেন, তিনি যদি তার জমিতে একটি ঘর তুলে দেন তাহলে আমি মেশিন, ট্রেনারসহ যাবতীয় সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করব। এখান থেকে বেকার যুবকরা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার সঙ্গে সঙ্গেই আমি চাকরির ব্যবস্থা করে দিব। যশোদা জীবন দেবনাথ সমাজের অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে থাকেন, আশা করি তিনি যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য এই সহযোগিতা করবেন।
এ কে আজাদ বলেন,শহরের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য হাসপাতাল ও শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে কাজ শুরু করেছি। তাই আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা আপনাদের ছেলে-মেয়েদের মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। তখন আর চাকরি নিয়ে কাউকে ঢাকায় যেতে হবে না।
এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, এমপি হওয়ার আগে শহরটা মাদক ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য ছিল। মানুষ সব সময় একটা আতঙ্কে দিন পার করত। তারা আজ কোথায়? আমি এমপি হওয়ার আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত ফরিদপুর গড়ব, আমি তাই করেছি।
এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ড. যশোদা জীবন দেবনাথের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক হোসেন, হা-মীম গ্রুপের পরিচালক বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, আওয়ামী লীগনেতা মোকাররম মিয়া বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুসরাত তানিয়া, চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ত ম মাছুদ, কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির মো, বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে ইফতার মাহফিলে অংশ নেন অতিথিরা। এ সময় প্রায় দুই হাজার মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করা হয়।