গাবতলি-কল্যাণপুর-মতিঝিলের কাউন্টারগুলোতে যাত্রীর চাপ কম
রাজধানীর কল্যাণপুরের বাসস্ট্যান্ডে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে থাকলেও আশানুরূপ যাত্রী না থাকায় প্রত্যেক বাসে দুই-একটি সিট খালি যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন পরিবহণ শ্রমিকরা। একই চিত্র গাবতলি বাস টার্মিনালেও। মতিঝিলের বাস কাউন্টারগুলোতেও তেমন যাত্রীর চাপ নেই। চিরচেনা সেই ভিড় এখন নেই। যেখানে পা ফেলার জায়গা পাওয়া যেতো না সেখানে এখন কাউন্টারের সামনে অলস দাঁড়িয়ে আছেন পরিবহণ শ্রমিকরা।
আজ রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে কল্যাণপুর ও গাবতলি বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।
তবে গাবতলি ও কল্যাণপুরের পরিবহণ শ্রমিকদের আশা বিকেল থেকে যাত্রীর চাপ বাড়বে। আগামীকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) থেকে পোশাক কারখানার কর্মীদের ছুটি শুরু হবে। তাই ওইদিন এবং তার পরের দিন (৯ এপ্রিল) যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক বেশি থাকবে।
সাতক্ষীরাগামী এসপি গোল্ডেন লাইনের কল্যাণপুর কাউন্টারের ম্যানেজার মো. বাবু বলেন, ‘আজও যাত্রীর চাপ কম। কেউ সরাসরি কাউন্টারে চলে এলেই টিকিট পাচ্ছে। হয়তো পেছনের দিকে, তবে পাচ্ছে। অথচ, গত ঈদের সময়ও এমনটা ছিল না। তবে, আশা করছি আগামীকাল ও পরশু যাত্রীর চাপ বাড়বে। গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাবে।’
মো. বাবু বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, পদ্মাসেতু চালু হওয়ার কারণে এবার এমনটা হয়েছে। কারণ, কম সময় ও কম খরচে যাওয়া যাচ্ছে। ফলে, যাত্রীরা বিভিন্নভাবে চলে যেতে পারছে।’
গাবতলির সোহাগ কাউন্টারের কর্মী নাজমুল বলেন, ‘আজও রাত থেকে চাপ বাড়বে যাত্রীদের। এখন অনেক কাউন্টার ফাঁকা, লোকজন কম। তবে, গতকাল শনিবার থেকে আজ যাত্রী বেশি।’
এদিকে মতিঝিলের সাতক্ষীরা এক্সপ্রেসের কাউন্টার ম্যানেজার শহিদুল বলেন, ‘আজ অনেকদিন হলো এখানে কাজ করি। কিন্তু, ঈদের দুই-তিনদিন আগে যাত্রীর চাপ এতো কম কখনো দেখেনি। তবে, কাল থেকে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাবে। এ চাপ থাকবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত।’