ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীর চাপ বাড়ছে সায়েদাবাদ টার্মিনালে
পবিত্র ঈদুল ফিতর দোরগোড়ায়। ঈদে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছেন রাজধানীবাসী। আজ রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর সায়েদাবাদ, মানিকনগর, টিটিপাড়া, যাত্রাবাড়ী, ধলপুর, পোস্তগোলাসহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। এদিকে পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত সপ্তাহে যাত্রীর সংখ্যা কম হলেও আজ থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে তিশা পরিবহণের সুপারভাইজার ওসমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার যাত্রীর চাপ কম ছিল। এছাড়া শুক্র ও শনিবার কিছুটা বেড়েছে। তবে আজ যাত্রীর চাপ অনেক। এবার ঈদের ছুটির আগে সরকারি একাধিক ছুটি পড়েছে। এই কারণে মানুষের চাপটা সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া ভোগান্তি এড়াতে কয়েকদিন আগে থেকেই মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। যে কারণে এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তির। বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
আজ রোববার দুপুরের পরে যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ ও ধোলাইপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বাস ও যাত্রীর ভিড় আজ গত দুদিনের তুলনামূলক বেশি। এছাড়া সায়েদাবাদ এলাকায় বাসের হেলপাররা হাঁকডাক দিয়ে যাত্রী ডাকছেন।
মানিকনগরে ইকোনো পরিবহণে সামসুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘গাড়ি ছাড়ার কথা সাড়ে তিনটায়। ঝামেলা এড়াতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কাউন্টারে চলে এসেছি। মুগদা থেকে হানিফ ফ্লাইওভারে উঠতে অনেক জ্যাম। এই জ্যাম পার হতেই মনে হয় দুই ঘণ্টার বেশি লাগবে।
এদিকে টিকাটুলির এশিয়া পরিবহণের মুনমুন নামের এক নারী যাত্রী বলেন, আগে সায়েদাবাদ থেকে বাসা ছাড়লে টিকাটুলিতে যাত্রীর জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতো। কিন্তু এখন সায়েদাবাদ থেকেই যাত্রী হয়ে যাচ্ছে। তাই টিকাটুলিতে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে হচ্ছে না। ঈদের মধ্যে বাড়িতে গেলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়।
এদিকে রামগঞ্জ অভিমুখী ‘হিমালয়’ পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার সোহেল বলেন, ‘প্রতি আধাঘণ্টা পরপর আমাদের গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। এবারের কিন্তু ঈদযাত্রায় যাত্রী অনেক বেশি। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরপর গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে।
এদিকে মাগুরা, যশোর, বেনাপোল, বরগুনা, বরিশাল, কুয়াকাটা, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, নাজিরপুর, বাগেরহাট, জয়পাশা লাহুড়িয়াগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার মিজান মজুমদার বলেন, আমাদের ভোর থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ২০টির বেশি গাড়ি ছেড়ে গেছে। যাত্রীর চাপ আজকে ভালোই আছে। আমরা শুধু টিকিট বিক্রি করি, গাড়ির হিসাবটা সঠিকভাবে জানি না। তবে যাত্রীর ব্যাপক চাপ রয়েছে। এখন ফিরতি গাড়ি এলে তারপর যাত্রী নিয়ে যাবে। আমাদের সবকটি গাড়ি ঢাকা ছেড়ে গেছে, তাই এখন গাড়ি ছাড়তে বিলম্ব হতে পারে।
পটুয়াখালীগামী যাত্রী মহিন বলেন, ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছে। বাস ভাড়া পূর্বে ছিল ৬০০ টাকা আর এখন দাবি করা হচ্ছে ৯০০ টাকা।