বান্দরবানে জাতীয় ও জননিরাপত্তা হুমকির মুখে : গণতন্ত্র মঞ্চ
বান্দরবান অঞ্চলে সশস্ত্র তৎপরতা জাতীয় ও জননিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে এমন অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। একই সঙ্গে মঞ্চের অভিযোগ উপজেলা নির্বাচনে ১০ গুণ জামানত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চরম স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্বৃত্ত মাফিয়াদের সুবিধার জন্যই।
রাজধানীতে আজ রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এক সভায় মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি অফিসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি’র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বান্দরবানের সশস্ত্র তৎপরতার পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলেন, বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র তৎপরতা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বাংলাদেশিদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা তৈরি করেছে। বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সাথে একদিকে যখন শান্তি আলোচনা চলছে অন্যদিকে তখন কুকি-চিন কেএনএফ সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই করেছে, দিনে দুপুরে ব্যাংক থেকে টাকা লুট করেছে, মানুষকে অপহরণ করছে। এটা স্পষ্ট যে, বান্দরবান অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা রয়েছে, সরকারের কার্যকরি গোয়েন্দা নজরদারির ক্ষেত্রে রয়েছে বড় ঘাটতি।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করে সশস্ত্র তৎপরতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় নেতৃবৃন্দ আসন্ন স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ গুণ বৃদ্ধি করে এক লাখ ও পঁচাত্তর হাজার টাকা করার সিদ্ধান্তকে চরম খামখেয়ালী ও স্বেচ্ছাচারিতা হিসাবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন কালো টাকার মালিক ও দুর্বৃত্ত মাফিয়াদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ফলে সৎ জনবান্ধব নেতা-কর্মীদের পক্ষে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না। একদিকে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বসে পড়েছে তখন উপজেলা নির্বাচনে ১০ গুণ জামানত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে অর্থহীন করে তুলবে।