ঈদুল ফিতরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের দাঙ্গাপ্রবণ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। অভিযানের অংশ হিসেবে গত দুদিনে দাঙ্গা কবলিত কুমড়ি ও তেলকাড়া গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার লোহাগড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ‘দাঙ্গা’প্রবণ। এসব গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে থাকে। গ্রামের গোষ্ঠীগত, বংশগত সর্বোপরি আধিপত্য বিস্তারসহ নানাবিধ কারণে গ্রাম্য কোন্দল সংঘটিত হয়। গ্রামের চিহ্নিত তথাকথিত মাতব্বররা গ্রামের কোন্দল জিইয়ে রেখে মামলা-মোকদ্দমার যাঁতাকলে নিরীহ মানুষদের ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ। আর এ কোন্দলে এক শ্রেণির গ্রাম্য সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র হিসেবে ঢাল, রামদা, ছ্যানদা, বল্লম, সড়কি, লাঠিসোঁটা ব্যবহার করছে। দাঙ্গাপ্রবণ গ্রামগুলোর প্রায় বাড়িতেই এসব দেশীয় অস্ত্র রয়েছে। কারণে-অকারণে এসব সন্ত্রাসী গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ লুটপাট করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
দাঙ্গাপ্রবণ গ্রামগুলো থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন রায়ের তত্ত্বাবধানে পরিদর্শক (অপারেশন) মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। দিঘলিয়া ইউনিয়ন বিট অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) অমিত বিশ্বাস, মাজহারুল ইসলামসহ ৪০ জনের একদল পুলিশ গত বৃহস্পতিবার ও শনিবার উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের তেলকাড়া ও দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের মধ্যপাড়ায় সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এ সময় বিভিন্ন বাড়ি থেকে ১৫টি ঢাল, ৯টি রামদা, চারটি চাইনিজ কুড়াল, চারটি ছ্যানদা, আটটি বল্লম, চারটি হাতুড়ি, পাঁচটি কোচ, ১১টি হাসুয়া, ৩০টি সড়কিসহ বিপুল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, উপজেলার দাঙ্গাপ্রবণ এলাকায় এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।