স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাবিননামা, কাজি ও সহযোগী কারাগারে
চাঁদপুরের কচুয়ায় মুনতাসীর শাকিল নামে এক ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করায় উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) মো. মাহমুদুল হাসান ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ আদালতে হাজির হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কাজি ও তাঁর সহযোগী মামলার হাজিরা দিতে এলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এই আদেশ দেন।
কাজি মো. মাহমুদুল হাসান ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ কচুয়া উপজেলার বরইগাঁও গ্রামের মৃত মাওলানা আবদুর রবের ছেলে।
মামলার বাদী হলেন কচুয়া উপজেলার আইনগীরী নাউলা গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে মুনতাসীর শাকিল।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩০ মে মুনতাসীর শাকিল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ আমলী আদালতে মামলাটি করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, নাউলা গ্রামের আবদুল হাকিমের মেয়ে লাহিনূর আক্তার লুনা (৩৬) কাদলা ইউনিয়নের কাজি মো. মাহমুদুল হাসান ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফের যোগসাজসে মুনতাসীর শাকিলের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করেন।
মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে পাঠায়। মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব পান পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফ উল্লাহ। তিনি মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
ওই মামলায় হাজিরা দিতে এলে আসামি কাজি মো. মাহমুদুল হাসান ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রণজিত রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শেখ আবদুল লতিফ ও অ্যাডভোকেট মো. হেলাল উদ্দিন। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ।