শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘বাংলার বাঘ’ নামে পরিচিত শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন গণমানুষের নেতা।
আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।
বাণীতে মহান এ নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের এক অনন্যসাধারণ প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ও নবাব নওয়াব আলী চৌধুরীর কাছে রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য, সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের সভাপতি (১৯১৬-১৯২১), কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪) ও পূর্ব বাংলার গভর্নরের (১৯৫৬-১৯৫৮) পদসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। অসাধারণ মেধাবী ও বাগ্মী ফজলুল হক একাধারে বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় বক্তৃতা করতে পারতেন। দক্ষ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক হিসেবে প্রায় অর্ধশতাব্দীর অধিককাল তিনি গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।’
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা। কৃষক ও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় তিনি ১৯৩৬ সালে কৃষক প্রজা পার্টি (কেপিপি) এবং ১৯৫৩ সালে শ্রমিক-কৃষক দল প্রতিষ্ঠা করেন। অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শেরে বাংলা এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। তার উদ্যোগে গঠিত ‘ঋণ সালিশি বোর্ড’ বাংলার শোষিত ও নির্যাতিত কৃষক সমাজকে ঋণের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি বঙ্গীয় চাকুরি নিয়োগবিধি, প্রজাস্বত্ব আইন, মহাজনি আইন, দোকান কর্মচারী আইন প্রনয়ন করেন, যা এ অঞ্চলের অবহেলিত কৃষক-শ্রমিকের ভাগ্যোন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রেখেছে।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বরেণ্য এই রাজনীতিবিদ ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। কৃষক-শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তার অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। এ কে ফজলুল হকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।’
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।