বাংলাদেশে মে থেকে চলবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স ও এয়ার চায়নার ফ্লাইট
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স ও এয়ার চায়না বাংলাদেশে আগামী মে মাস থেকেই তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। এই দুই বিদেশি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইথিওপিয়া এয়ারলাইন্স এবং এয়ার চায়নাকে সহায়তা করার প্রস্তুতি চলছে।
বেবিচক বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে এই এয়ারলাইন্সগুলোর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সার্ভিসে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছে। বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সটির জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন বলেন, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আদ্দিস আবাবা-ঢাকা-আদ্দিস আবাবা সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স মে মাসে আদ্দিস আবাবা থেকে ঢাকার মধ্যে ফ্লাইট চালু করার পরিকল্পনা করেছে, প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। আফ্রিকার বিস্তৃত নেটওয়ার্কের জন্য পরিচিত এয়ারলাইন্সটি তার বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ উড়োজাহাজ দিয়ে ঢাকায় প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায়, যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আদ্দিস আবাবা থেকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার প্রধান শহরগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াদে কূটনৈতিক আলোচনার পর ইথিওপিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমান চলাচল চুক্তি সই হয়। ১৪৭টি বিমান নিয়ে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স আফ্রিকার বৃহত্তম বিমান সংস্থা এবং পরিষেবা প্রদানকারী দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিমান সংস্থা।
চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এয়ার চায়না ঢাকা-বেইজিং-ঢাকা রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট চালু করবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ভ্রমণকে সহজ করা। কারণ, বর্তমানে ঢাকা থেকে কুনমিং এবং গুয়াংজুর মতো চীনা শহরগুলোতে রাজধানীতে পৌঁছানোর জন্য ফ্লাইটগুলোকে অতিরিক্ত স্থানান্তর প্রয়োজন। ৪৯৭টি উড়োজাহাজের বহর নিয়ে এয়ার চায়না তার বিদ্যমান ৪৫২টি রুটে যোগ করে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক রুট সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।