বিএনপিনেতা আমান বিদেশ যেতে পারবেন কিনা জানা যাবে ৫ মে
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি চেয়ে করা আবেদনের শুনানির জন্য ৫ মে দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির এ দিন ধার্য করেন। এর আগে সকালে আমানের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন আপিল বিভাগে এ আবেদন করেন।
গত ২৮ মার্চ হঠাৎ বুকের ব্যথা হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আমানউল্লাহ আমানকে। সেখানে চিকিৎসা শেষে পরের দিন তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন বিএনপি নেতা আমান।
গত ২০ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগের মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপিনেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ। তবে, বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে বলা হয়।
গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন বিএনপিনেতা আমান উল্লাহ আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চেয়েছেন। পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন তিনি। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপিনেতা আমান উল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জামিনে তিনি কারামুক্ত হোন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
গত বছরের ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।