জুলুম করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। জনগণ বর্তমান সরকারের পতন চায়, ভোটের অধিকার চায়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চায়। এভাবে জুলুম করে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না।
সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র পক্ষ থেকে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘২০১৮ সালে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ আগের রাতে ভোট কেটে নিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছিল। বিএনপির মতো এত বড় রাজনৈতিব দলকে পাঁচটি সিট ধরিয়ে দিয়েছিল। বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর জুলুম করে, নির্যাতন করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে, কারাগারে প্রেরণ করে, কবরবাসীদের নামে, হজ্ব পালনরতদের নামে, মৃত্যু শয্যায় থাকা নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, গুম খুন করে ভোট ডাকাতি করেছিল তারা।’
রিজভী বলেন, ‘জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের পতন চায়। ভোটের অধিকার চায়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চায়। এভাবে জুলুম করে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না।’ প্রধানমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘অতিবাম আর অতি ডানরা আপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় না। এ দেশের মানুষ আপনাকে আর সিংহাসনে দেখতে চায় না। কারণ আপনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন, জনগণ আপনাকে ভোট দেয়নি। অতিরিক্ত ভারতপ্রীতি ও জুলুম নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।’
রিজভী বলেন, ‘বর্তমানে যে ভয়াবহ দুর্যোগ চলছে তা শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়। এটি ক্ষমতাসীনদের অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ। তথাকথিত উন্নয়নের নামে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল নির্মাণ, ফ্লাইওভার নির্মানের নামে শুধু লুটপাট করা হয়েছে। আর সে টাকা বিদেশে পাচার করে অট্রেলিয়া, দুবাই, কানাডায় সেকেন্ডহোম তৈরি করা হয়েছে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, এ দুর্যোগেও জনগণের পাশে নেই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরা। কারণ তারা জনগণের ভোটের নির্বাচিত নয়, তাদের জনগণের ভোটের দরকার হয় না। তিনি আরও জানান, ঢাকা মহানগর উত্তরের ৭১টি ওয়ার্ডে জনস্বার্থে পানি ও স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচি চলবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, মাহমুদুর রহমান সুমন, তারিকুল আলম তেনজিং, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টি প্রমুখ।