গণতন্ত্র সুসংহত করতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীতে নানা ধরনের শাসন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্রসহ নানা পদ্ধতির মধ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই আজকের পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম শাসন পদ্ধতি বলে বিবেচিত। এই গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সবার অংশগ্রহণ করা জরুরি। অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
গতকাল রোববার (৫ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতা শীর্ষক নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে ছায়া সংসদে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিতর্কের বিষয় ছিল নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে। সরকারি দল হিসেবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পক্ষে এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী দল হয়ে বিপক্ষে অংশগ্রহণ করে। দু'দলের বিতর্ক শেষে সরকারি দল হিসাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে গণতন্ত্রের অনুষঙ্গ হিসাবে জবাবদিহিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বাকস্বাধীনতা গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কিন্তু সেই বাকস্বাধীনতারও একটি সীমা রয়েছে। এমনকি আমেরিকাতেও বাকস্বাধীনতা অবাধ নয়।’
তাজুল ইসলাম এ সময় নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভালো এবং মন্দ উভয় দিক রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘এতে একই দলের বিভিন্ন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবে কিন্তু সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাতে সংঘাতে রূপ না নেয় সে বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে কারণ দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা রয়েছে।’ মন্ত্রী এ সময় গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে সকল দলের দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে থেকে গণতন্ত্রকে কখনো শক্তিশালী করা যায় না।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সে সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পরামর্শ দিলেও তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করেন। জাতির পিতা নির্বাচনি প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন বলেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়।’