আমরা এখন শতভাগ খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে পারি : দীপু মনি
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশে একটা সময় খাদ্যের অনেক অভাব ছিল। তখন আমরা বলতাম সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা। ১৯৭০ সালের দিকে আমাদের দেশের জনসংখ্যা ছিল কম, আবাদ যোগ্য জমি ছিল বেশী। তখন ৭ কোটি মানুষের জন্য আমাদের ৬০ ভাগের বেশী খাদ্য উৎপাদন করা যায়নি। তবে এখন জমি কমেছে এবং জনসংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে, আমরা এখন প্রয়োজনের শতভাগ খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে পারি। তা একমাত্র সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। কারণ এখন খাদ্য নিয়ে অনেক গবেষণা হয়।
আজ সোমবার (১৩ মে) বিকেলে চাঁদপুর জেলা খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপু মনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর কৃষি ও গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন এবং গবেষকদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। যে কারণে কৃষি গবেষণা আমাদের একটি বিরাজ অর্জন এসেছে। যার ফলে এখন আমাদের কোন জমি অনাবাদি থাকছে না। একই জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের ন্যায্যমূল্য পরিশোধে বদ্ধপরিকর। কারণ কৃষকই হচ্ছে দেশের মূল চালিকা শক্তি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা খাদ্য গুদামের ব্যবস্থাপক (সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক) রবীন্দ্রলাল চাকমা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) শ্যামপ্রসাদ চাকমা, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী, জেলা পরিষদ সদস্য খুরশিদ আলম সিকদারসহ বিভিন্ন রাইস মিলস্ ব্যবসায়ীরা।
এবছর চাঁদপুরে বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ হাজার ৬৮২ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা হলো ৬ হাজার ১০৬ মেট্রিক টন এবং চাল হলো ৭ হাজার ৫৭৬ মেট্রিক টন। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ বোরো সংগ্রহ অব্যাহত থাকবে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য ইতোমধ্যে জেলা সদর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও শাহরাস্তি উপজেলার ১৬টি অটোরাইস মিল চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।