লক্কড়-ঝক্কড় বাস ‘দৃষ্টিনন্দন’ করতে ৪০ দিন সময় দিল বিআরটিএ
‘বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশের রাজধানীতে এমন লক্কড়- ঝক্কড় ও ভাঙাচোরা বাস চলতে পারে না’ উল্লেখ করে লক্কড়-ঝক্কড় বাসগুলো দৃষ্টিনন্দন করতে মালিকদের ৪০ দিন সময় দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
সম্প্রতি বিআরটিএ এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। ঢাকার রাস্তায় এসব লক্কড়-ঝক্কড় বাস চলাচল করায় বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়।
আগামী ১ জুলাই থেকে লক্কড়-ঝক্কড় বাসের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের মহাসড়কগুলোতে লক্কড়-ঝক্কড়, রংচটা, লাইট ভাঙা, সিট ভাঙা মোটরযান চলাচলের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে ঢাকা মহানগরে চলাচলরত গণপরিবহণের সৌন্দর্যের ওপর নগরের সৌন্দর্য ও দেশের ভাবমূর্তি নির্ভর করে। সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মোটরযান চালক, যাত্রী, পথচারীসহ সব অংশীজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী জুনের মধ্যে সব ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানকে ত্রুটিমুক্ত ও দৃষ্টিনন্দন করতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ঢাকার সড়কে চলাচলকারী বাসগুলো দেখলে নিজের কাছেই লজ্জা লাগে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল রোববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ব্র্যান্ডিং সেমিনার অন ঢাকা মেট্রোরেল’অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে আরও বলেন, ‘জরাজীর্ণ বাস চলাচল নিয়ে আমরা মিটিং করে বিআরটিএর সঙ্গে কথা বলেও সমাধান করতে পারিনি। রাস্তাঘাটে বাসগুলো দেখলে ভীষণ খারাপ লাগে।’
এসময় ওবায়দুল কাদের বাস মালিকদের কাছে জানতে চান, ‘মেট্রোরেল থেকে নেমে গরিব, জীর্ণশীর্ণ বাস দেখতে কেমন লাগে? বাসের মালিকরা কি লজ্জা পায় না? তারা কি বিদেশে যান না? তারা সেখানকার বাসগুলো দেখেন না?’