আশুলিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
সাভারে একটি রেস্তোরাঁয় গোপন বৈঠকের সময় জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২৫ মে) দুপুরে আশুলিয়ার পল্লিবিদ্যুৎ এলাকার একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—রাজবাড়ীর পাংশা থানার বাগমারা গ্রামের জিল্লুর রহমান (৪৫), নাটোরের বাগাতিপাড়া থানার আশিকুর রহমান (৪০), চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার কাসাড়া গ্রামের আনোয়ার (২৯), জামালপুরের মেলান্দহ থানার ঢালুখাবাড়ি চরপাড়ার আব্দুর রাজ্জাক (৫০), টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার পাকুটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪২), মেহেরপুরের গাংগী থানার সাহেবনগর গ্রামের আবুল বাশার (৪৩), টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ভাওয়া গ্রামের আব্দুল কাদের (৬০), সিরাজগঞ্জ সদরের শিলদাহ গ্রামের আমিনুল ইসলাম (৩৩), আশুলিয়ার নয়ারহাটের ঘুঘুদিয়া এলাকার আরমান হোসেন (৩৭), মাদারীপুরের শিবচর থানার সন্যাষীর চর এলাকার জলিল খান (৪২), লক্ষীপুরের রামগঞ্জ থানার কান্দিরপাড় গ্রামের সোহেল রানা (২৮), চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার সিকিরচড় গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৫৩), বগুড়া জেলার ধনুট থানার বড়মোগাচর গ্রামের আব্দুল করিম (২৯), নীলফামারীর ডোমার থানার উত্তর আমবাড়ি গ্রামের নুরনবী (৩৮), লক্ষীপুরের রামগঞ্জ থানার কালিকাপুর গ্রামের তৈয়ব উল্লাহ (৪৭), ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার উরাগাছা গ্রামের মোজাম্মেল হক (৪০), দিনাজপুর জেলার কোতোয়ালি থানার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মিরাজ হোসেন (৩৪), আশুলিয়ার পলাশবাড়ি বটতলা এলাকার মানিক (৩৪), বরিশালের মুলাদি থানার চরপদ্মা গ্রামের মো. হাসান (৩৫), বরিশাল সদরের চরকালামতি এলাকার জসিম উদ্দীন (৪০), সিরাজগঞ্জের চৌহালী থানার চৌবাড়িয়া গ্রামের জাহিদ হাসান (৪১) ও গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার দিকবাড়ী গ্রামের ফিরোজ কবীর (৩৫)।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি, অপারেশন) নির্মল কুমার দাশ বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামিরা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। ২০২৩ সালের ১ আগস্টের একটি নাশকতা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জুলাই সকাল ৬টার দিকে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার ইয়াসিন সুপার মার্কেটের সামনে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীসহ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা শফিকুর রহমানের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে যানচলাচলে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছিল। এসময় তারা বিভিন্ন গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর শুর করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোঁড়ে। ইটের আঘাতে পুলিশ সদস্য মাজহারুল ও সাইদুর আহত হন। এসময় ঘটনাস্থলে আরও পুলিশ উপস্থিত হলে তারা একটি ককটেল বিস্ফোরণ কর পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জামায়াতে আমির শফিকুর রহমানসহ সব নেতাকর্মীকে মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল লেখা একটি ব্যানার, বিস্ফোরিত ককটেলের বিভিন্ন অংশবিশেষ, গাড়ির গ্লাস ভাঙ্গার কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনার পর ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এই মামলায় গতকাল ২২ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।