পিরোজপুরে মেডিকেল টিমসহ প্রস্তুত ৫৬১ আশ্রয়কেন্দ্র
দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’র প্রভাব শুরু হয়ে গেছে। এ থেকে বাঁচতে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের তিন লক্ষাধিক মানুষকে আশ্রয় দিতে ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের কিছু এলাকা ছাড়া বেশিরভাগ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়া শুরু করেনি।
গতকাল শনিবার (২৫মে) বিকেলে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, মেডিকেল টিম গঠন ও কন্ট্রোল রুম খোলার বিষয়টি জানানো হয়। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিসি মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় ২৯৫টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ২৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের কাছে ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা, ৬১১ মেট্রিকটন চাল, এক হাজার ৩৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৯৭ বান্ডিল টিন মজুদ রয়েছে।’
মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান আরও বলেন, আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ৬৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সার্বিক যোগাযোগের জন্য মোট আটটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’র প্রভাবে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। জেলার কঁচা, বলেশ্বর, কালিগঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর পানি জোয়ারে এক থেকে দেড় ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে ।