দেশে রাতকানা রোগ প্রায় নির্মূল হয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এর মাধ্যমে সারা দেশে একযোগে ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল হওয়ায় দেশে রাতকানা রোগ প্রায় নির্মূল হয়েছে।
আজ শনিবার (১ জুন) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৪ এর উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুদের বিনামূল্যে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। তিনিই প্রথম অনুধাবন করেছিলেন, শিশুদের রাতকানাসহ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকির অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন খাওয়ানো ছাড়া উপায় নেই।’
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘অন্ধত্ব রোধে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ালে শিশুর পুষ্টি বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাড়ে। রাতকানা রোগ, হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার মতো রোগ কমাতেও সাহায্য করে।’
এ সময় অবিভাবকদের স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।
এর আগে, বেলুন উড়িয়ে ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। নিজে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে দেন। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৭ লাখ শিশুকে একটি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের একটি ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আজ। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম।
এবার, সারাদেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ। এ হিসেবে এবার ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সারাদেশের মোট ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এতে ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিচ্ছেন।